মার্কিন গণতন্ত্র সম্মেলন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্রের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেবে। আগামী মাসে দুই দিনের এ সম্মেলনে কর্তৃত্ববাদী সরকারকে প্রতিহত করা, দুর্নীতি দমন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা—এ তিন বিষয় গুরুত্ব পাবে।
সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তানসহ ১১০টি দেশ আমন্ত্রণ পেলেও তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। অবশ্য আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘বিচলিত’ নয় বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশের মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর ভাষায় ‘দুর্বল গণতন্ত্রের’ দেশগুলোকে এবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীবার সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আমন্ত্রণ পাবে বাংলাদেশ।
২৪ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আমন্ত্রিত ১১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়ালি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরও এ সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডাকা গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ এবং ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি সব দলের অংশগ্রহণে আগামী সংসদ নির্বাচন দেখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এটিকে বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে নির্বাচনসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় ঘাটতি আছে বলে পশ্চিমারা ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ বিষয়ের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না পাওয়ার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস টেকসই হবে। সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশ যে সরে গেছে, তা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় বলে আসছেমো. হুমায়ূন কবীর, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূতগণতন্ত্র সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১০টি দেশের নাম রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ভুটান তালিকায় নেই। তালিকায় তাইওয়ানের নাম থাকলেও চীন নেই। যদিও এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। তালিকায় রাশিয়া বাদ গেলেও কর্তৃত্ববাদী শাসনের জন্য সমালোচিত পোল্যান্ড ও ফিলিপাইনের মতো দেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে সম্মেলনের আয়োজন করছেন, তাতে আমন্ত্রিত দেশের তালিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, সম্মেলনের অন্যতম প্রতিপাদ্য কর্তৃত্ববাদ প্রতিরোধ হলেও আমন্ত্রিত দেশগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চর্চার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৯ সালে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে প্রথম বছরেই বিশ্বে গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করতে গণতন্ত্রমনা দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করবেন।
যা বলছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তালিকা প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রতিপাদ্য এবং বাংলাদেশের আমন্ত্রণের বিষয়ে জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করে প্রথম আলো। ই-মেইলের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র লিখেছেন, নির্দিষ্ট কোন দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বা কী হয়নি, সেটা নিয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। কাজেই কোন দেশকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হলো না, সেটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সব অঞ্চল এবং আর্থসামাজিক শ্রেণির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সম্মেলন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়, সেটায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত এবং উদীয়মান গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কোনো গণতন্ত্রই নিখুঁত নয়—এটা মেনে নিয়েই আমন্ত্রিতরা সমবেত হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় একে অন্যকে সহায়তা করা, ইতিবাচক পরিবর্তনে উৎসাহিত করা এবং অভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ।’
বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান
সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (আইডিইএ) ২২ নভেম্বর তাদের গণতন্ত্রের বৈশ্বিক পরিস্থিতি ২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে গবেষণায় যুক্ত এ প্রতিষ্ঠান বলেছে, কিছু কিছু কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে নিয়মিত নির্বাচন হচ্ছে, যা মোটেই স্বাধীন এবং অংশগ্রহণমূলক নয়। এ ধরনের নির্বাচন আবার অনিয়মমুক্তও নয়। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের নাম বলা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। আর ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘দুর্বল গণতন্ত্র’ ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে গবেষণায় যুক্ত ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের এ বছর প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশের তালিকায় দেখানো হয়েছে। ২১০টি দেশকে নিয়ে করা প্রতিষ্ঠানটির সূচকে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য বরাদ্দ করা ৪০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫ এবং নাগরিক অধিকারের ৬০ নম্বরের মধ্যে ২৪ পেয়েছে বাংলাদেশ।
আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন মো. হুমায়ূন কবীর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র বলতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারসহ গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলো সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মতো বিষয়গুলো বুঝিয়ে থাকে। মার্কিন প্রশাসন মনে করে, সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস টেকসই হবে। সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশ যে সরে গেছে, তা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় বলে আসছে।
সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তানসহ ১১০টি দেশ আমন্ত্রণ পেলেও তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। অবশ্য আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘বিচলিত’ নয় বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশের মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর ভাষায় ‘দুর্বল গণতন্ত্রের’ দেশগুলোকে এবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীবার সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আমন্ত্রণ পাবে বাংলাদেশ।
২৪ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আমন্ত্রিত ১১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়ালি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরও এ সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডাকা গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ এবং ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি সব দলের অংশগ্রহণে আগামী সংসদ নির্বাচন দেখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এটিকে বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে নির্বাচনসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় ঘাটতি আছে বলে পশ্চিমারা ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ বিষয়ের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না পাওয়ার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস টেকসই হবে। সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশ যে সরে গেছে, তা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় বলে আসছেমো. হুমায়ূন কবীর, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূতগণতন্ত্র সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১০টি দেশের নাম রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ভুটান তালিকায় নেই। তালিকায় তাইওয়ানের নাম থাকলেও চীন নেই। যদিও এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। তালিকায় রাশিয়া বাদ গেলেও কর্তৃত্ববাদী শাসনের জন্য সমালোচিত পোল্যান্ড ও ফিলিপাইনের মতো দেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে সম্মেলনের আয়োজন করছেন, তাতে আমন্ত্রিত দেশের তালিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, সম্মেলনের অন্যতম প্রতিপাদ্য কর্তৃত্ববাদ প্রতিরোধ হলেও আমন্ত্রিত দেশগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চর্চার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৯ সালে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে প্রথম বছরেই বিশ্বে গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করতে গণতন্ত্রমনা দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করবেন।
যা বলছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তালিকা প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রতিপাদ্য এবং বাংলাদেশের আমন্ত্রণের বিষয়ে জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করে প্রথম আলো। ই-মেইলের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র লিখেছেন, নির্দিষ্ট কোন দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বা কী হয়নি, সেটা নিয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। কাজেই কোন দেশকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হলো না, সেটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সব অঞ্চল এবং আর্থসামাজিক শ্রেণির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সম্মেলন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়, সেটায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত এবং উদীয়মান গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কোনো গণতন্ত্রই নিখুঁত নয়—এটা মেনে নিয়েই আমন্ত্রিতরা সমবেত হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় একে অন্যকে সহায়তা করা, ইতিবাচক পরিবর্তনে উৎসাহিত করা এবং অভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ।’
বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান
সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (আইডিইএ) ২২ নভেম্বর তাদের গণতন্ত্রের বৈশ্বিক পরিস্থিতি ২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে গবেষণায় যুক্ত এ প্রতিষ্ঠান বলেছে, কিছু কিছু কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে নিয়মিত নির্বাচন হচ্ছে, যা মোটেই স্বাধীন এবং অংশগ্রহণমূলক নয়। এ ধরনের নির্বাচন আবার অনিয়মমুক্তও নয়। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের নাম বলা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। আর ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘দুর্বল গণতন্ত্র’ ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে গবেষণায় যুক্ত ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের এ বছর প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশের তালিকায় দেখানো হয়েছে। ২১০টি দেশকে নিয়ে করা প্রতিষ্ঠানটির সূচকে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য বরাদ্দ করা ৪০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫ এবং নাগরিক অধিকারের ৬০ নম্বরের মধ্যে ২৪ পেয়েছে বাংলাদেশ।
আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন মো. হুমায়ূন কবীর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র বলতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারসহ গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলো সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মতো বিষয়গুলো বুঝিয়ে থাকে। মার্কিন প্রশাসন মনে করে, সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস টেকসই হবে। সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশ যে সরে গেছে, তা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় বলে আসছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Comments